AdyaMaa Temple - Click to know more

AdyaMaa Temple - Click to know more

" অন্নদা ঠাকুর ও আদ্য পীঠের ইতিকথা "

🌿🌺🌿🌺🌿🌺🌿🌺🌿🌺🌿🌺


শ্রীরামকৃষ্ণ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে অন্নদাঠাকুর (অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য) ১৯২১ সালের চৈত্র মাসের এই রামনবমী তিথিতেই শ্রীরামকৃষ্ণের নির্দেশমতো ইডেন গার্ডেন্সের লেক থেকে আদ্যা মায়ের মূর্তি উদ্ধার করেন। সেই থেকে বাসন্তী নবমীকে আদ্যাপীঠস্থ সকল ব্রহ্মচারীগণ এবং অগণিত ভক্তগণ "আদ্যা নবমী" রূপে চিহ্নিত করে থাকেন। আর বাদবাকি ৫১ তিথির মত আদ্যা নবমীতেও সারাদিন আদ্যাপীঠের সকল মন্দির খোলা থাকে এবং রাধাগোবিন্দ, আদ্যা মা, শ্রীরামকৃষ্ণের বিশেষ পূজার্চনা দর্শন করা যায়।


ডি ডি মন্ডল ঘাট রোডে ২৭ বিঘা জমির উপর আদ্যাপীঠ সঙ্ঘ মঠ। স্বপ্নাদেশ পেয়ে হৃষিকেশ থেকে কলকাতায় আসেন শ্রী অন্নদা ঠাকুর। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে শিল্পীদের অসামান্য হাতের যাদুতে ১৩৭৫ বঙ্গাব্দের মকর সংক্রান্তিতে স্বপ্নে দেখা মন্দির গড়ে তোলেন অন্নদা ঠাকুর। ১০ কাঠা জমির উপর ৯৬ ফুট উঁচু বিশাল দেবী মন্দির। ১০ লক্ষ টাকার মন্দিরটির স্থাপত্যও অনবদ্য। বাংলার অনান্য মন্দিরের থেকে এই মন্দিরের গঠনশৈলী যেমন বিরল, ঠিক তেমনই অভিনব এর আঙ্গিক। দূর থেকে দেখে মনে হতেই পারে সামনা সামনি ৩ টি মন্দির যেন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছে। মন্দিরের চূড়ো ৩ টিও যেন ধাপে ধাপে নেমেছে। যা দূর থেকে দেখলে মনে হবে একে অপরের সঙ্গে মিশে গেছে।মন্দিরটির যেমন অভিনবত্ব আছে, ঠিক তেমনই অভিনব দেবমূর্তি। কারুকার্য করা শ্বেত পাথরের ৩ ধাপের বেদির প্রথম ধাপে বসা অবস্থায় শ্রীরামকৃষ্ণের মূর্তি। দ্বিতীয় ধাপে আদ্যামায়ের আদলে শিবের বুকের উপর দাঁড়নো অবস্থায় আছে অষ্টধাতুর দেবী (আদ্যামায়ের) মূর্তি। আর তৃতীয় ধাপে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। উল্লেখ্য, সেবায়েত বা পূজারি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। দেবীর দর্শন সেরে নিতে হয় সামনের মন্ডপ থেকে।প্রতিদিন সূর্যোদয়ের একঘন্টা আগে মঙ্গলারতি, সকাল সাড়ে ১০ টায় ভোগারতি আর সূর্যাস্তের দেড় ঘন্টা পর শীতলারতি অনুষ্ঠিত হয় মন্দিরে। দুপুর ও সন্ধ্যায় আরতির সময় দেবী দর্শনের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এছাড়া অনান্য সময় দেবীর দরজা বন্ধ থাকে। সেই কারনেই দেবীকে দর্শন করা যায় না। এছাড়াও প্রতিমাসে শুক্লপক্ষের নবমী, কৃষ্ণপক্ষের একাদশী, সংক্রান্তি, দুর্গা পুজোর সপ্তমি থেকে দশমী, ঝুলন, রাস, দোল পূর্ণিমার দিনগুলি ছাড়াও মহালয়া ও দীপীবলির দিন গুলির মতো বছরে মোট ৫২ দিনই দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বসাধারনের জন্য মন্দিরের দরজা খোলবা থাকে। তবে মূল মন্দিরের সামনে থেকেই দেবতা দর্শন করতে হয়।

এছাড়াও মন্দিরের পশ্চিম দিকে প্রাচীনকালের ৬টি আটচালা শিবমন্দির আছে। উল্টো দিকে আছে শিবের মন্দির। সেই মন্দিরে প্রতিদিনই পুজো হয়। এছাড়াও শ্রী অন্নদা ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত রামকৃষ্ণ সংঘ মন্দিরের পূজার্চনা, অনাথ বালিকাদের জন্য আশ্রম, আশ্রয়হীন মায়েদের জন্য মাতৃ আশ্রম, দাতব্য চিকিৎসালয়, বিদ্যালয়, সংস্কৃত মহাবিদ্যালয় ছাড়াও এখানে নানা সমাজকল্যানমূলক কাজ করা হয়। মূলত কৃষিকেন্দ্রের উপার্জনেই মন্দির তথা সঙ্ঘের বিভিন্ন কাজকর্ম চলে।

এছাড়াও ব্যাপক অন্নভোগের প্রচলন আছে মন্দিরে। কিছু টাকার বিনিময়ে ভক্তদের অন্নপ্রসাদ মেলে। কিন্তু যারা প্রসাদ খেতে চান তাদের সকাল ১০টার মধ্যে কুপন সংগ্রহ করে নিতে হবে। তেমনই প্রতিদিনই মন্দিরে দরিদ্রনারায়ণ সেবারও ব্যবস্থা করা হয় মন্দিরে।প্রতিবছরই পৌষ সংক্রান্তিতে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মহা উৎসব পালিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে এইসময় প্রচুর মানুষ আসেন আদ্যাপীঠে। এছাড়াও চৈত্র মাসের রামনবমীতে আদ্যাপীঠে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। এই রামনবমী তিথিতেই শ্রীরামকৃষ্ণের নির্দেশমতো ইডেন গার্ডেন্সের লেক থেকে আদ্যা মায়ের মূর্তি পাওয়া যায়। পূজোর পরে দেবীমূর্তির ভাসানও দেওয়া হয় গঙ্গায়। বর্তমান দেবীমূর্তি তারই প্রতিরূপ। রামনবমীর সময় কুমারী পুজোও একশোরও বেশী কুমার ভোজন আদ্যাপীঠের বিশেষ আকর্ষন। এছাড়াও ঝুলন পূর্ণিমা ও মাঘী পূর্ণিমায় বিশেষ অনুষ্ঠান হয় আদ্যাপীঠে।


দক্ষিণেশ্বর লাগোয়া এই কালীক্ষেত্র নিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় কবিরাজি পড়তে এসেছেন অন্নদা ঠাকুর। কবিরাজি পাশ করার প্র্যাকটিস করবেন এমন ঠিক করেছেন। এমন সময় রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বলেছিলেন তোমার কবিরাজি ব্যবসা হবে না। ঠাকুর অন্নদাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ইডেন গার্ডেন্সের ঝিলে আদ্যা মা পড়ে আছেন। ওখান থেকে মাকে উঠিয়ে নিয়ে এসো। অন্নদা ঠাকুর ঝিলে খোঁজাখুঁজি করতে ১৮ ইঞ্চি আদ্যা মায়ের কষ্টিপাথরের মূর্তি পান। সেদিন ছিল রামনবমী তিথি। রাতে মা তাঁকে দেখা দিয়ে বলেন, অন্নদা কাল বিজয়া দশমী। তুমি আমায় গঙ্গায় বিসর্জন দিও। এই কথা শুনে অন্নদা আঁতকে উঠে বলেন, আমি কি পুজোপাঠ করিনি বলে তিনি রাগ করে চলে যাচ্ছেন? তখন মা বলেন, না তা নয়। আমি শুধু শাস্ত্র বিহিত মতে পুজো পেতে চাই তা নয়। মা খাও, মা পড়ো- এমন সহজ সরল প্রাণের ভাষায় যে ভক্ত নিজের ভোগ্যবস্তু এবং ব্যবহার্য বস্তু আমাকে নিবেদন করেন, সেটাই আমার পুজো। যদি কোনও ভক্ত আমার সামনে আদ্যাস্তোত্র পাঠ করে তাহলে আমি বিশেষ আনন্দিত হই। এরপর মা আদ্যাস্তোস্ত্র বলেন, আর অন্নদা ঠাকুর লিখে যান। সেই স্ত্রোত্রই এখন আদ্যাপীঠে পাঠ হয়। এই ঘটনার চার বছর পর ১৯১৮ সালে ঝুলন পূর্ণিমার রাতে রামকৃষ্ণদেব অন্নদা ঠাকুরকে হৃষিকেষ যেতে বলেন। সেখানে মন্দির তৈরির আদেশ দেন তিনি। রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন সৃষ্টির পর পৃথিবীর বুকে এমন মন্দির হতে চলেছে যেখানে ঈশ্বরের প্রকট আবির্ভাব ঘটবে। তার মাহাত্ম্য এতটাই হবে যে মন্দির স্পর্শ করলেই ভক্তদের উদ্ধার মিলবে।

রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য অন্নদা ঠাকুরের হাত ধরেই দক্ষিণেশ্বরের অদূরেই তৈরি হয় এই আদ্যাপীঠ। 

কোনও শাক্ত পীঠ নয়। আদ্যাশক্তি মহামায়ার বিগ্রহেই ফুল-চন্দন পড়ে নিয়মিত। ভোগও হয়। 

তবে অন্য দিনের থেকে একটু আলাদা আয়োজন কালীপুজোর দিন। সেদিন মহাপুজোর আয়োজন হয় আদ্যা মন্দিরে। কার্তিক অমাবস্যার আঁধার কাটিয়ে, দীপাবলির আলোয় সেজে ওঠে গোটা আদ্যাপীঠ। আদ্যাশক্তি মহামায়া। দেবীর আরাধনায় তো নিজের জীবন উত্‍সর্গ করে ছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে ভবতারিণীর সংসারেই, গোটা জীবন কাটিয়ে দিয়েছিলেন কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায়। 

নির্দেশ ছিল, বারো বছরের মধ্যে মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হলেই মন্দিরে সাধারণের প্রবেশ অবাধ থাকবে। 

কিন্তু তা হয়নি। তাই নাট মন্দির থেকেই দর্শন করতে হয় দেবীকে। শীর্ষে রাধাকৃষ্ণ, তারপর আদ্যাশক্তি মহামায়া এবং দেবীর নীচে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। এভাবেই সাজানো মূল মন্দিরের কক্ষ। 

ভোগেও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রাধাকৃষ্ণের জন্য সাড়ে বত্রিশ সের চালের রান্না হয়। দেবীর জন্য সাড়ে বাইশ সের চাল বরাদ্দ। এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্য সাড়ে বারো সের চালের রান্না হয়। এ ব্যবস্থা প্রতিদিনের। 

মূল মন্দিরের নির্মাণেও বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। 

মন্দিরের চূড়ায় সর্ব ধর্মের প্রতীক ব্যবহৃত। 

আছে হিন্দু ধর্মের ত্রিশুল, বৌদ্ধ ধর্মের পাখা, খ্রীষ্ট ধর্মের ক্রুশ এবং ইসলাম ধর্মের চাঁদ-তারা। 

জনশ্রুতি, এমন ভাবনা স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী।

দেবী যে সর্বজনীন।


আদ্যা স্ত্রোত্র

= = = = = =

ওঁ শৃণু বৎস প্রবক্ষ্যামি আদ্যাস্ত্রোত্রং মহাফলং ।

যঃ পঠেৎ সততং ভক্ত্যা স এব বিষ্ণুবল্লভঃ ।।

মৃত্যুব্যাধিভয়ং তস্য নাস্তি কিঞ্চিৎ কলৌ যুগে ।

অপুত্রা লভতে পুত্রং ত্রিপক্ষং শ্রবণং যদি ।

দ্বৌ মাসৌ বন্ধনাম্মুক্তির্বিপ্রবক্ত্রাৎ শ্রুতং যদি ।

মৃতবৎসা জীববৎসা ষাম্মাসং শ্রবণং যদি ।।

নৌকায়াং সঙ্কটে যুদ্ধে পঠনাজ্জয়মাপ্নুয়াৎ ।

লিখিত্বা স্থাপয়েদ্ গেহে নাগ্নিচৌরভয়ং ক্কচিৎ ।।

রাজস্থানে জয়ী নিত্যং প্রসন্নাঃ সর্বদেবতাঃ ।

ওঁ হ্রীঁ ব্রাহ্মণী ব্রহ্মলোকে চ বৈকুণ্ঠে সর্বমঙ্গলা ।।

ইন্দ্রানী অমরাবত্যামম্বিকা বরুণালয়ে ।

যমালয়ে কালরূপা কুবেরভবনে শুভা ।।

মহানন্দাগ্নিকোনে চ বায়ব্যাং মৃগবাহিনী ।

নৈর্ঝত্যাং রক্তদন্তা চ ঐশান্যাং শূলধারিণী ।।

পাতালে বৈষ্ণবীরূপা, সিংহলে দেবমোহিনী ।

সুরসা চ মনিদ্বীপে লঙ্কায়াং ভদ্রকালিকা ।।

রামেশ্বরী সেতুবন্ধে বিমলা পুরুষোত্তমে ।

বিরজা ঔড্রদেশে চ কামাখ্যা নীলপর্বতে ।।

কালিকা বঙ্গদেশে চ অযোধ্যায়াং মহেশ্বরী ।

বারাণস্যমন্নপূর্ণা গয়াক্ষেত্রে গয়েশ্বরী ।

কুরুক্ষেত্রে ভদ্রকালী ব্রজে কাত্যায়নী পরা ।

দ্বারকায়াং মহামায়া মথুরায়াং মাহেশ্বরী ।।

ক্ষুধা ত্বং সর্বভূতানাং বেলা ত্বং সাগরস্য চ ।

নবমী কৃষ্ণপক্ষস্য শুক্লাস্যৈকাদশী পরা ।।

দক্ষস্য দুহিতা দেবী দক্ষযক্ষবিনাশিনী ।

রামস্য জানকী ত্বং হি রাবণধ্বংসকারিণী ।।

চণ্ডমুণ্ডবধে দেবী রক্তবীজবিনাশিনী ।

নিশুম্ভশুম্ভমথনী মধুকৈটভঘাতিনী ।।

বিষ্ণুভক্তিপ্রদা দুর্গা সুখদা মোক্ষদা সদা ।

ইমং আদ্যাস্তবং পুণ্যং যঃ পঠেৎ সততং নরঃ ।

সর্বজ্বরভয়ং নস্যাৎ সর্বব্যাধিবিনাশনম্ ।।

কোটিতীর্থফলং তস্য লভতে নাত্র সংশয়ঃ ।।

জয়া মে চাগ্রতঃ পাতু বিজয়া পাতু পৃষ্ঠতঃ ।

নারায়নী শীর্ষদেশে সর্বাঙ্গে সিংহবাহিনী ।।

শিবদূতী উগ্রচণ্ডা প্রত্যঙ্গে পরমেশ্বরী ।

বিশালাক্ষী মহামায়া কৌমারী শঙ্খিনী শিবা।।

চক্রিণী জয়দাত্রী চ রণমত্তা রনপ্রিয়া ।

দুর্গা জয়ন্তী কালী চ ভদ্রকালী মহোদরী ।।

নারসিংহী চ বারাহী সিদ্ধিদাত্রী সুখপ্রদা ।

ভয়ঙ্করী মহারৌদ্রী মহাভয়বিনাশিনী ।।


ইতি ব্রহ্মযামল ব্রহ্ম-নারদ সংবাদে আদ্যাস্ত্রোত্রং সমাপ্তম্। 


বাংলা অনুবাদঃ-


হে বৎস্য । মহাফলপ্রদ আদ্যা স্ত্রোত্র বলিব- শ্রবণ করো । যে সর্বদা ভক্তি পূর্বক ইহা পাঠ করে, সে বিষ্ণুর প্রিয় হয় । এই কলিযুগে তাহার মৃত্যু ও ব্যাধিভয় থাকে না । অপুত্রা তিনপক্ষ কাল ইহা শ্রবন করিলে পুত্র লাভ করে । ব্রাহ্মণের মুখ হইতে দুই মাস শ্রবন করিলে বন্ধন মুক্তি হয় । ছয় মাস কাল শ্রবন করিলে মৃতবৎসা নারী জীববৎসা হয় । ইহা পাঠ করিলে নৌকায়, সঙ্কটে , যুদ্ধে জয়লাভ হয় । লিখিয়া গৃহে রাখিলে অগ্নি বা চোরের ভয় থাকে না । রাজস্থানে নিত্য জয়ী হয় এবং সর্ব দেবতা সন্তুষ্ট হন । হে মাতঃ, তুমি ব্রহ্মলোকে ব্রহ্মাণী, বৈকুন্ঠে সর্বমঙ্গলা , অমরাবতীতে ইন্দ্রানী, বরুণালয়ে অম্বিকা, যমালয়ে কালরূপা, কুবের ভবনে শুভা , অগ্নিকোনে মহানন্দা, বায়ুকোনে মৃগবাহিনী, নৈর্ঝতকোনে রক্তদন্তা, ঈশানকোনে শুলধারিনী, পাতালে বৈষ্ণবীরূপা, সিংহলে দেবমোহিনী, মণিদ্বীপে সূরসা, লঙ্কায় ভদ্রকালিকা সেতুবন্ধে রামেশ্বরী, পুরুষোত্তমে বিমলা, উৎকলে বিরজা, নীলপর্বতে কামাখ্যা, বঙ্গদেশে কালিকা, অযোধ্যায় মহেশ্বরী, বারানসিতে অন্নপূর্ণা , গয়াক্ষেত্রে গয়েশ্বরী, কুরুক্ষেত্রে ভদ্রকালী, ব্রজে শ্রেষ্ঠা কাত্যায়নী, দ্বারকায় মহামায়া , মথুরায় মাহেশ্বরী । তুমি সমস্ত জীবের ক্ষুধাস্বরূপা, সমুদ্রের বেলা। তুমি শুক্লপক্ষের নবমী এবং কৃষ্ণপক্ষের একাদশী। হে দেবী, তুমি দক্ষের কন্যা দক্ষযজ্ঞবিনাশিণী , তুমি রামের রাবন ধ্বংসকারিণী জানকী। তুমি চণ্ডমুণ্ড বধকারিনী দেবী , রক্তবীজবিনাশিনী , নিশুম্ভ-শুম্ভ মথনী , মধু- কৈটভ ঘাতিনী। তুমি বিষ্ণুভক্তিপ্রদা, দুর্গা, সর্বদা সুখ ও মোক্ষদায়িনী। জয়া আমাকে অগ্রভাগে রক্ষা করুন, বিজয়া পৃষ্ঠদেশে রক্ষা করুন। নারায়ণী মস্তকে রক্ষা করুন । সিংহবাহিনী সর্বাঙ্গে রক্ষা করুন। শিবদূতী, উগ্রচণ্ডা, পরমেশ্বরী , বিশালাক্ষী, মহামায়া, কৌমারী, শঙ্খিনী, শিবা, চক্রিনী, জয়দাত্রী , রণমত্তা, রণপ্রিয়া, দুর্গা, জয়ন্তী, কালী ভদ্রকালী, মহোদরী, নারসিংহী, বারাহী, সিদ্ধিদাত্রী, সুখপ্রদা, ভয়ঙ্করী , মহারৌদ্রী, মহাভয়বিনাশিনী আমার প্রতি অঙ্গ রক্ষা করুন ।


ব্রহ্মযামলে ব্রহ্ম-নারদ সংবাদে আদ্যাস্ত্রোত্র সমাপ্ত হল।


সূত্র : সোশাল নেটওয়ার্ক

Send a Message

An email will be sent to the owner